কুষ্টিয়া মা ইলিশ রক্ষায় সচেতনা সভা অনুষ্ঠিত ।
কুষ্টিয়া মা ইলিশ রক্ষায় সচেতনা সভা অনুষ্ঠিত ।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ০৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন এর পুরাতন কুষ্টিয়া ৯ নং বালিকা বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গনে শতাধিক পদ্মা নদীর জেলেদের সাথে সচেতনা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন, বিশেষ অতিথি: অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট সিরাজুল ইসলাম, হাটশ হরিপুর ইউ.পি চেয়ারম্যান: এম.সম্পা মাহমুদ, জেলা মৎস কমকতা সজদার রহমান, সদর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সুদীপ বিশ্বাস, অতিরিক্ত মৎস কমকর্তা হোসেন আহম্মেদ।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বলেন: সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে এ বছর ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। এ উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ১৪ অক্টোবর থেকে ০৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়া জেলার সকল উপজেলায় আমাদের কর্মসূচি থাকবে। যারা ইলিশ আহরণ বা বিক্রয় করতে পারবেন না তাদের আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। যাতে মৎস্যজীবী, মৎস্য আহরণকারী বা এ প্রক্রিয়ায় জড়িতে একজন মানুষও খাবারের সংকটে না থাকে। বিশ্বে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৮০ ভাগের বেশি বাংলাদেশে উৎপাদিত থাকে। মা ইলিশ থাকতে পারে এমন নদীতে কোন নৌকাকে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না। টহলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক উপায়ে মনিটর করা হবে। যেন কোনো নৌকা বা টলার ইলিশ ধরতে না পারে।
ইলিশ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে, মানুষকে সচেতন করা, ইলিশ আহরণে আমাদের সাফল্যের কথা এবং কোন ক্ষেত্রে আরও কাজ করা প্রয়োজন আছে সে বিষয়গুলো গণমাধ্যম আমাদের দৃষ্টিতে এনেছে। গণমাধ্যমের সংবাদকে কেন্দ্র করে আমরা কাজ করেছি। এ কারণে ইলিশের এ সাফল্যকে ত্বরান্বিত করা সম্ভব হয়েছে। আমরা চাই ইলিশ এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছাবে যে, আমাদের সকল মানুষ ইলিশ খেতে পারবে। ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত ইলিশ উৎপাদন হবার পর আমরা বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানির চিন্তা করব। এই মুহূর্তে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানির কথা আমরা ভাবছি না। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে আমাদের ইলিশের উৎপাদন ও সফলতা এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে যেদিন ইলিশ রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে আমরা সক্ষম হবো। এইসময় শতাধিক জেলে শপথ করে বলেন যে, তারা এই ২২ দিনে কোন প্রকার নদীতে মাছ ধরতে নামবে না।